● সোমবার, মে 6, 2024 | 08:02 পূর্বাহ্ন

তাওহীদের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার দিন

তাওহীদের চেতনায় উজ্জীবিত করে তুলে ঈদুল আযহা

লা-ইলাহা ইল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। এটাই হলো তাওহীদের ঘোষণা। ইসলামের কালেমার অংশ। এটা মুমিনের ঈমান ও চেতনারও অংশ। জিলহজ মাসে এই ঈমানী চেতনা আরো নতুন মাত্রায় যোগ হয়। এই মাসেই এসেছে হজ্ব ও কুরবানীর বিধান। হজ্বের স্থানগুলোতে ধ্বনিত হয় -লাববাইক আল্লাহুম্মা লাববাইক, লাববাইক লা শারীকা লাকা লাববাইক ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা-শারীকা লাক।

হাজির, ইয়া অল্লাহ! আমি হাজির। তোমার কোনো শরীক নেই, আমি হাজির। সকল প্রশংসা ও দান তোমারই, রাজত্বও তোমারই। তোমার কোনো শরীক নেই।

তাওহীদ ও আনুগত্যের গভীর ভাব বহনকারী এই বাক্যগুলোই কা’বার জিয়ারতে গমনকারীদের বিশেষ তারানা, বিশেষ পহচান।

কুরবানীর সময় নবী করীম (সা:)-যে দোয়া পাঠ করতেন তা-ও ভাব ও ব্যঞ্জনায় অভিন্ন। লা-শরীক আল্লাহর আনুগত্য ও তাঁর আদেশের সামনে পূর্ণ সমর্পণই ওই দোয়ার অভিব্যক্তি। এই দোয়া থেকেই কুরবানীর তাৎপর্য ও অন্তর্নিহিত প্রেরণা প্রকাশিত হয়।

সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (সা:)-নিজেও ঈদুল আযহার দিনে কুরবানী করেছেন এবং অন্যদেরকেও কুরবানী করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। এক হাদীসে এসেছে, নবী কারীম (সা:) বলেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ রাহমাতুল্লিল আলামীন এই কঠিন বাক্যটিই তাদের উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করেছেন।

জিলহজ্বের ৯ তারিখ থেকে তাকবীরে তাশরীকের বিধান এসেছে। ৯ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১৩ যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব। নারী-পুরুষ সবাই নামায শেষে পাঠ করবেন-‘আল্লাহু আকবার, ওয়াল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থাৎ আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহই সবচেয়ে বড় এবং আল্লাহরই জন্য সকল প্রশংসা।

পবিত্র এই মাসে আমরা যেন তাওহীদের চেতনায় উজ্জীবিত হই। পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের জন্য লা-শরীক আল্লাহর আনুগত্যে সমর্পিত হওয়ার বার্তা নিয়ে আসে।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
Muhammad (sm.)
বিস্তারিত...