● শুক্রবার, এপ্রিল 26, 2024 | 05:22 পূর্বাহ্ন

শাহী জামে মসজিদ

দেওপাড়া গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা শাহী জামে মসজিদ

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোড় ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামে অবস্থিত শাহী জামে মসজিদ।মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা শাহী ৯৯ জর্দ্দার মালিক শামিম আহমেদ। অনেকেই তাঁকে গাছ পাগল বলে ডাকেন। আর তিনি অন্যদেরকে ভাবেন ফুল পাগল। তার মতে গাছ পাগল হলে দুনিয়াটা কতই না সুন্দর হত। দুনিয়াটা গাছ-গাছালিতে ভরপুর থাকলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের পরিমাণ অনেক কমে যেত। ফলে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যেত। এমন ভাবনা থেকেই তিনি শাহী ৯৯ পার্ক লাগোয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

দেওপাড়া গ্রামের গাছ-গাছালিতে ঘেরা এই অপরূপ শাহী জামে মসজিদটি দেখলে মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে! পারিজাত, রঙ্গন, টগর, কাঠ গোলাপ, রক্তকরবী, ক্যামেলিয়া, কাঞ্চনসহ প্রায় ৬০ প্রজাতির ফুল, নানা রঙের প্রায় পঞ্চাশ রকমের বাহারি পাতা এবং ক্যাটটাস দিয়ে ঘেরা এই মসজিদ।

অন্যদিকে আছে কয়েক রকমের আম গাছ। পাঁচ রকমের পেয়ারা, দারুচিনি, কাজুবাদাম, শাল, সেগুন, মেহগনি, নারকেল, পান সুপারি এমনকি বাঁশের ঝাড়ও। ছোট-বড় প্রায় দেড় হাজার সবুজ গাছে ঘেরা মসজিদটি। সমসজিদ ঘিরে রয়েছে হরেক রকমের বিদেশি গাছও। বুজের বুক চিরে শুধু মিনারটি জানান দিচ্ছে মসজিদের উপস্থিতি।

সবুজে সবুজে পুরো মসজিদ এবং ঈদগাঁহ ঘিরে ফেলেছে। শুধু নামাজ আদায় করতেই নয়, এখানে অনেকেই সবুজে ঘেরা মসজিদটি একনজর দেখতে আসেন। করোনাকালে পার্কটি বন্ধ থাকলেও দর্শনার্থীরা এখনও মসজিদ দেখতে আসেন। প্রতিদিন বিকেলে মসজিদকে ঘিরে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি।

প্রায় এক একর জমির উপর তৈরী হয়েছে মসজিদ আর ঈদগাহ। মসজিদের রক্ষা প্রচীরে, ঈদগাহের চারপাশে, এমনকি প্রবেশের রাস্তায় সর্বত্র গাছ আর গাছ। বাহারি ফুল দেখতে অনেকেই ছুটে আসেন মসজিদে।

প্রতিদিন কোনও গাছের ডাল কাটা হয়, কোনও গাছের গায়ে কোনও রোগপোকা বাসা বাঁধল কি না তা দেখা হয়, কোনও গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে কি না, গাছে পানি দেওয়া এ সবই চলে একেবারে নিয়মমাফিক। এ যেন প্রতিদিনের অভ্যাস। সকালে-বিকালে গাছেদের পরিচর্যা করা হয়। মসজিদের খাদেমরা শ্রমিক নিয়ে গাছেদের পরিচর্যায় মেতে উঠেন।

২৭ বছর বয়স থেকেই গাছের নেশায় জড়িয়ে পড়েন শামিম আহমেদ। দিল্লী, মুম্বাই, হায়দরাবাদ বা বিদেশে অন্য কোথাও যেখানেই বেড়াতে বা কোনও কাজে গিয়েছেন নজরকাড়া ফুল, পাতাবাহার, ক্যাটটাস দেখলেই সেগুলি যেভাবেই হোক সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন মসজিদের সৌন্দর্য।

গাছ-গাছালিতে ঘেরা এই মসজিদের দিকে তাকালে কেউ আর চোখ ফেরাতে চায় না।। অনেকে বলেন, গাছ পাগল। আমাদেরও এরকম পাগল হওয়া দরকার। আর শামিম আহমেদের কথায়, ‘যখন থেকে বুঝতে শিখলাম আমরা কার্বনের বিষে ডুবে যাচ্ছি, তখন থেকেই গাছ ও ফুলের প্রতি আমার ভালবাসা।’ তার আফসোস, সবাই যদি ফুল-ফল ও সবুজ গাছ-গাছালিদের ভালবাসত তা হলে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত। মানুষের বসবাসের যোগ্য হতো।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...