হাদীসে বর্নিত আছে যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যতবান হয় আল্লাহ তাকে পাঁচ প্রকারে সম্মানিত করেন।
১। রিজিকের অভাব দূর করে দেন।
২। কবরের আজাব মাফ করে দেন।
৩। হাশরের মাঠে ডান হাতে আমল নামা দিবেন।
৪। চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে দিবেন।
৫। বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন।
- সূফী হযরত শাকীক বলখী রহ. বলেন, আমি পাঁচটি জিনিস
খুঁজে পেয়েছি পাঁচ জায়গায়। (১) রিজিকের বরকত পেয়েছি-চাশতের নামাজে।
(২) কবরের আলো পেয়েছি-তাহাজ্জুত নামাজে।
(৩) কবরের প্রশ্নের জবাব পেয়েছি-কুরআন তিলাওয়াতে।
(৪) সহজে পুলসিরাত পারের ব্যবস্থা পেয়েছি- রোজা ও
সাদকায়।
(৫) আরশের ছায়া পেয়েছি নির্জনে আল্লাহর ভয়ে
কান্না কাটিতে। - হাফেজ ইবনে কাইয়্যূম রহ. নামাজের উপকারিতার ব্যাপারে
যাদুল মাআদ কিতাবে লিখেছেন-
(১) রুজী আকর্ষণ করে।
(২) স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
(৩) রোগ ব্যধি দূর করে।
(৪) অন্তর শক্তিশালী করে।
(৫) চেহারায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি কর।
(৬) মনে আনন্দ আনে।
(৭) অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সজিবতা আনে।
(৮) অলসতা দূর করে।
(৯) অন্তর খুলে দেয়।
(১০) রুহের খোরাক হয়।
(১১) অন্তর আলোকিত করে।
(১২) আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত রক্ষা করে।
(১৩) আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
(১৪) শয়তান দূরে রাখে।
(১৫) আল্লাহ তা’লার নৈকট্য সৃষ্টি করে।
মোট কথাঃ দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ হাসিলের জন্য নামাজের রয়েছে অন্যতম ভূমিকা ।
হাফেজ ইবনে হাজার রহ. মুনাব্বিহ নামক কিতাবে হযরত ওসমান গনী রা. থেকে বর্ননা করেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত যত্ন সহকারে সময় মত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাকে ৯টি পুরষ্কার দ্বারা সম্মানিত করেন।
(১)আল্লাহ নিজে তাকে ভালবাসেন।
(২) তাকে সুস্থতা দান করেন।
(৩) ফিরিস্তাগণ তাকে হেফাজত করেন।
(৪) তার ঘরে বরকত দান কররেন।
(৫) তার চেহারায় নূর ফুটে উঠে।
(৬) দিল নরম হয়।
(৭) বিজলির আকার পুলসিরাত পারের ব্যবস্থা হয়।
(৮) তাকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেওয়া হয়।
(৯) জান্নাতে তাকে এমন লোককদের সাথে রাখবেন
যাদেরব্যপারে কুরআন শরীফে বলা হয়েছে-তোমাদের কোন
ভয় নেই, চিন্তাও নেই।