নির্বাচনে হেরে ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে দিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
গোলাম কিবরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তিনি টিনের তৈরি মসজিদ ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান। নির্বাচনে হেরে তাঁর মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর ওই ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া (নৌকা প্রতীক)। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলমের কাছে পরাজিত হন।
মসজিদের পাশের বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন, মসজিদটি ভেঙে নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এতে করে ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। এখন বিকল্প হিসেবে গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাবেক চেয়ারম্যারন গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজখানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছে না। ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, নামাজখানা হলেও তিনি তা ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে গোলাম কিবরিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দিকে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে পারিবারিক অর্থায়নে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান। ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলমের কাছে হেরে যান।