বিয়ের পর পরই স্ত্রীকে তার স্বামীর সাথে মরুভূমি অঞ্চলে চলে যেতে হয়েছিল। স্ত্রী ছোট বেলা থেকেই শহরে বড় হয়েছিল। তাই মরুভূমি তার কাছে অত্যন্ত গেয়ো এবং নিরানন্দ লাগছিল।
যেখানে থাকার ব্যবস্থা হল সেটাও তার কাছে ভালো লাগছিল না। গ্রামের জরাজীর্ণ একটা চালা ঘর, ধূসর মরুভূমি, উত্তপ্ত আবহাওয়া, আদিবাসী প্রতিবেশী। সেখানকার কেউই আদিবাসী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে পারে না। প্রচন্ড গরমের মধ্যে সে অসহায় একাকীত্ব বোধ করছিল। এরই মধ্যে একদিন তার স্বামী কাজের প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য গ্রাম থেকে দূরে চলে গেল।
তখন সে তার মাকে চিঠি লিখে পাঠাল যে, এখানে এই আদি-বন্য মানুষ আর তাদের সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না। তাই সে বাড়ি ফিরে আসছে। কিছুদিন পর তার মা তাকে চিঠির উত্তর দিলেন। সেটাতে লেখাছিল-
“দুই জন লোক কারাগারের ফটক দিয়ে বাহিরে তাকাল। একজন দেখতে পেল কাদা আর অন্যজন আকাশের তারা”
চিঠির এই লাইনেই তার অন্তর্দৃষ্টি খুলে গেল। এবার সে আর পরিবেশকে নয় বরং নিজেকে বদলিয়ে ফেললো। আদিবাসী প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ শুরু করলো। আপন মনে মরুভূমির সৌন্দর্য আবিষ্কার করলো। তার পৃথিবী বদলে গেল। অল্প সময়েই তার কাছে ঐ জায়গা মনে হল এক নতুন জগৎ এক নতুন পৃথিবী। এক নতুন আনন্দলোক।