নদী ভাঙ্গনে এলাকায় বন্যা হয়ে রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এক মসজিদের ইমামের সাঁতার কেটে মসজিদে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো। ঘটনাটি ছিল সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে। এবার সেই এলাকায় ভাসমান মসজিদ তৈরি করে ইতিহাস গড়লেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
গতকাল ৫ই অক্টোবর, মঙ্গলবার ‘আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন মসজিদে হযরত নূহ (আঃ) নামে ভাসমান মসজিদটি উদ্বোধন করেন। জানা যায়, প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বাজেটের এই মসজিদে অন্তত ৭০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারবেন।
জানতে চাইলে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নাছির উদ্দীন জানান, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সরেজমিনে দেখেছি, স্থানীয় কিছু লোক কোমর সমান পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। পানির কারণে জুমার নামাজ পর্যন্ত পড়তে না পারার দুঃখগুলো একেবারে মাঠ পর্যায়ে দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি মসজিদ তৈরি করব।
এ পরিকল্পনাটি ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা মালয়েশিয়া আই আই ইউ এম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম এ মোতাকাব্বের স্যারকে জানানো হয়। পরে তিনি ভাসমান মসজিদের ডিজাইনটি করে পাঠিয়ে দেন।বাংলাদেশের প্রথম ভাসমান মসজিদটি তৈরী করতে সময় লাগে মাত্র ১১ দিন। আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন মসজিদে নুহ আলাইহিসসালাম নামে মসজিদটির নাম দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস, নিত্যদিন পানিতে বাস করা, সকালে ঘুম থেকে উঠে পানিতে নেমে নৌকা করে হাঁট-বাজার ও স্কুলে যেতে পারলে এই মানুষগুলো নৌকাতে নামাজ পড়তে অসুবিধা কোথায়? বরং বহুদিন ধরে নামাজে না আসায় নামাজ ভুলে যেতে বসা মানুষগুলো এখন থেকে নামাজ আদায়ের দারুণ সুযোগ পাবে।
নবনির্মিত এই ভাসমান মসজিদে ৪ জন একসাথে অজু করার জন্য অজুখানা, টয়লেট, কোরআন শরীফসহ র্যাক তথা জরুরি সামগ্রীগুলো দেয়া হয়েছে।