হযরত সুলাইমান আ. একজন বিখ্যাত নবী। নবুয়্যতের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সারা জাহানের বাদশাহ। আল্লাহ তাকে নবুয়্যত ও রাজত্ব দুটিই দিয়ে ছিলেন। আল্লাহ পাক তাকে বাতাসের উপর হুকুম চালানোর অধিকার দিয়ে ছিলেন। জ্বিন-ইনসান, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ তার সাথে কথা বলতো। সকলের সুখ দুখের খবর নিতেন। যথা সাধ্য সমাধান করতেন।
এক লোক তার কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর পয়গাম্বর! আমার কেন যেন হঠাৎ করেই মৃত্যুর ভয় লাগছে। আমার হায়াতটা একটু বাড়ানোর ব্যবস্থা করা যায়? হযরত সুলাইমান আ. বলেন, যখন যার মৃত্যু নির্ধারিত হয় তখনই তাকে মরতে হয়। এটাই আল্লাহ পাকের বিধান। সময় বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। লোকটি এবার বলল, তাহলে আপনি বাতাসকে আদেশ দিয়ে আমাকে এমন দূর,গহীন অরণ্যে পাঠিয়ে দিন যেখানে কখনো কেউ যায় নি, যেতে পারে নি। আমার মনে হয় আজরাঈলের হাত থেকে সেখানে গিয়ে বাঁচতে পারব।
হযরত সুলাইমান আ. বললেন, কোথাও গিয়ে তুমি আজরাঈলে কবল থেকে বাঁচতে পারবে না। তার পরও যদি তুমি যেতে চাও আমি পাঠাতে পারি। সে যেতে রাজি হলো। হযরত সুলাইমান আ. বাতাসকে আদেশ দিলেন তার পছন্দের জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। মূহুর্তে সে তার কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে গেল। গহীন অরণ্যে বাতাস তাকে নামিয়ে দেওয়ার সাথে সাথেই দেখলো এক লোক তার কাছে আসছে। আগত লোকটি তাকে দেখে বলছে, ভাইসাব আপনে আসতে এতো দেরি করলেন কেন? আমি সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি। সে জিজ্ঞাসা করলো কে আপনি ? আগত লোকটি বলল, যার ভয়ে আপনি পালিয়ে এসেছেন আমি সেই আজরাঈল।
উপদেশঃ মরন থেকে যতই পালাও মরন তোমায় লইবে ঘিরি, যদিও তুমি পালাও সুদূর আকাশপানে লাগিয়ে সিড়ি।
