বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদের মাইকে আজান দেওয়া নিয়ে আপত্তি করেন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা। এ ব্যাপারে দেশটির ওলামা পরিষদ আলোচনা করে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ মুসলিম দেশটিতে ৬ লাখ ২৫ হাজার মসজিদ রয়েছে। দেশটির ২৭ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই হলো মুসলিম। প্রায় সব মসজিদেই মাইকে আজান দেওয়া হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক মসজিদের মাইকেই উচ্চমাত্রা আওয়াজ হয়। ফলে শব্দ দূষণের অভিযোগ উঠে। ২০১৮ সালের আগস্টে উত্তর সুমাত্রায় এক বৌদ্ধ নারী স্থানীয় মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান। এ ঘটনায় তাকে ধর্ম অবমাননাকারী আখ্যায়িত করে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে প্যারোলে মুক্তি পান সেই নারী।
ইন্দোনেশিয়ান ওলামা কাউন্সিল সম্প্রতি এক ফতোয়ায় বলেছেন, সমাজে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মতামতকে সম্মান জানাতে মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে। দেশটির ধর্মমন্ত্রী ইয়াকুত চলিল কৌমাস ওলামা পরিষদের এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন। মসজিদে মাইক ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ওলামারা। যাতে শব্দদূষণ না হয়, এ জন্য মাইকের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওলামা পরিষদের নেতা মারুফ আমিনের মুখপাত্র মাসদুকি বাইডলবি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মাইকের ব্যবহার জনসাধারণের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলেম সমাজ চিন্তাভাবনা করছেন। তিনি বলেন, রাজধানী জাকার্তার মতো ইন্দোনেশিয়ার সব এলাকাই এখন ঘনবসতিপূর্ণ। তাই মাইকে সহনীয় মাত্রায় আজান দিতে হবে।
১৯৭৮ সালে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার আইন প্রণয়ন করে ডিক্রি জারি করেন।