একটি ইঁদুর খাবার খুঁজতে খুঁজতে রাজার ঘরে ঢুকে পড়লো। কোন খাবার না পেয়ে একটি হীরের টুকরো গিলে ফেলে। হীরে চুরি হয়েছে জানতে পেরে যাওয়ার রাজ-প্রাসাদে সকলের ঘুম হারাম হয়ে যায়। রাজা মশাই জ্যোতিষীকে ডেকে আনতে বলেন।জ্যোতিষী এসে রাজাকে বললো হীরের টুকরো ইদুরে খেয়ে ফেলেছে।
সেনাপতি রাজার হীরে উদ্ধার করার জন্য রাজ্যজুড়ে পুরস্কার ঘোষণা করেন। একজন শিকারীকে খোঁজ করে ইঁদুর মেরে হীরে উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শিকারি যখন ইঁদুর মারতে ইঁদুরদের বাসস্থানে পৌঁছায়, তখন সে দেখে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সাথে দলবেঁধে শুয়ে আছে। আর একটা ইঁদুর সবার থেকে আলাদা এক জায়গায় একটি ইটের ওপর রঙিন কাপড়ের বিছানা করে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে আছে। শিকারি তখন ওই ইঁদুরটাকে ধরে, আর তার পেট চিরে হীরে বের করে নিয়ে রাজার হাতে তুলে দিলেন ।
রাজামশাই অনেক খুশি হয়ে ওই শিকারীকে তার প্রাপ্য পুরস্কার বুঝিয়ে দিলেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “হাজারো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝলে যে, ওই ইঁদুরটাই হীরে চুরি করেছে..??”
রাজামশাইয়ের প্রশ্নের জবাবে শিকারি উত্তর দিলেন, “খুবই সহজ ! মূর্খ যখন হঠাৎ করেই বিত্তবান হয়ে যায়, তখন সে নিজেকে সবার থেকে আলাদা মনে করে। নিজের জাতীর সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়।
মূর্খ ইঁদুরটা ঠিক তাই করেছিল, হীরা চুরি করে নিজেকে সবচেয়ে ধনী এবং ইঁদুরদের রাজা ঘোষণা দিয়েছিল।”
শিক্ষাঃ বর্তমান সমাজে কিছু কিছু ব্যক্তিদের মাঝে এমন আচরন পরিলক্ষিত হয়। বড় বড় নেতাদের সাথে সেলফি কিংবা ছবি তুললেই নিজেকে অনেক বড় মনে করে। কিন্তু সমাজের বড় বড় নেতা বা উচ্চবিত্তদের সাথে সেলফি কিংবা ছবি তোলা অথবা চলার যোগ্যতা থাকলেই মানুষ কখনো বড় মনের হয়ে যায় না।।