● বুধবার, মে 1, 2024 | 11:18 অপরাহ্ন

মেহমানদারী একটি সুন্নাত আমল

কুরআনে কারীমে সূর হূদের ৬৯-৭০ নং আয়াতে আল্লাহ তা’আলা হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর একটি সুন্নাতের আলোচনা করেছেন। সেটি হলো মেহমানদারী।

মূলত মেহমানদারী তাঁর একটি স্বভাবজাত সুন্নাত ছিল। পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম তিনিই মেহমানদারী করেছিলেন। তার একটি মুবারক অভ্যাস ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো মেহমান না আসত বা দস্তরখানে খাওয়ার সঙ্গী না মিলত, ততক্ষন পর্যন্ত তিনি আহার করতেন না। প্রয়োজনে অপরিচিত কোনো পথিককে ঘরে এনে দস্তরখানে বসাতেন এবং তারপর খানা খেতেন। এমনিভাবে দ্বীনে মুহাম্মাদীতেও একাকি আহার না করে একত্রিত হয়ে খানা খাওয়া একটি সুন্নাত আমল। ইসলামে এই আমলটি খুব গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে।

হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট সাহাবাগণ আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা পানাহার করি কিন্তু; পরিতৃপ্ত হই না।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করলেন, সম্ভবত তোমারা পৃথক-পৃথকভাবে খাও। তাঁরা বললেন হ্যাঁ। এবার নবীজি বললেন- ‘তোমরা একত্রে খানা খাও এবং আল্লাহর নাম নাও। এতে তোমাদের খাবারের বরকত হবে।’ (আবূ দাউদ ২/৫২৮)

তাছাড়া বিখ্যাত একটি উক্তি আছে- ‘উত্তম খাবার হলো সেই খাবার, যাতে অধিক হাত শরীক হয়।’

এমনিভাবে বহুসংখ্যক সাহাবয়ে কেরামের বর্ণনা এবং তাঁদের নিজেদের সম্মিলিত খাওয়ার আমল দ্বারাই প্রমাণিত হয়, রাসূলুল্লাহ (সা.) সাধারণত একাকি খানা খেতেন না।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কায়কোবাদ
বিস্তারিত...