এবার দেশে প্রকাশ করা হলো ২০১৯-২০ এর যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ হারের নির্ণয় জরিপ। জরিপে ১২০০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই জরিপে দেখা গেছে, যক্ষ্মা রোগীদের ভিতরে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১%।
তৃতীয় লিঙ্গের যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। ৩৫ থেকে ৪৪ বছর পর্যন্ত বয়সের যারা তাদের মধ্যে সংক্রমণ হার ০.২%। ফুসফুসীয় যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে ০.১%, অফুসফুসীয় যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে ০.০৭%। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ হার ০.৫%, দিনমজুরদের মধ্যে ০.৩%।
যারা যক্ষ্মায় আক্রান্ত তাদের মধ্যে চারজন গৃহিণীর এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া গেছে। জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ( নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ জানান, প্রাথমিক শিক্ষা কম এমন রোগীরা বেশি সংক্রমিত হয়েছেন।
মহাখালীর নিপসম কনফারেন্স রুমে এইচআইভি সংক্রমণ হারের নির্ণয় জরিপ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, শিক্ষার সাথে সচেতনতার বিষয় জড়িয়ে আছে। রোগ হলে চিকিৎসা দিয়ে সারানো যায় কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। তাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। যে গৃহিণীরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পার্টনাদের টেস্ট করা প্রয়োজন ছিলো।
