● বুধবার, এপ্রিল 24, 2024 | 06:54 পূর্বাহ্ন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আভাস!

প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ জুলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ৫০০ তম দিন অতিবাহিত হলো। এই ৫০০ টি দিন খুলেনি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা। বিদ্যালয়ে যায়নি কোনো শিক্ষার্থী। অবশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চায় সরকার। এর আগে কয়েক দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সেপ্টেম্বরেই খুলে দেওয়া হচ্ছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ লক্ষ্যে শিক্ষা সংশ্নিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ে নানা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্কুলগামী শিশুদের পরবর্তী ধাপে রেখে আপাতত কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজও চলছে জোরেশোরে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৪ লাখ ৪০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের টিকা দেওয়ার কাজটি আগামী বুধবারের (১১ আগস্ট) মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, প্রথমেই সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসাথে খোরা হবে না। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে এবং আটকে থাকা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে কলেজ ও বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে এলে সেপ্টেম্বর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা স্কুলগুলো খুলে দিয়ে সরাসরি ক্লাস শুরু করে দিতে চাই।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করা হয়েছে। পূর্ববর্তী ক্লাসে আবশ্যিক যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পরীক্ষা না নিয়ে আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।

ফলে চলতি বছরের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া জেএসসি বা সমমান ও এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে যোগ করে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা-২০২১ এর ফলাফল দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে কোনো রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
কাজী নজরুল ইসলাম
বিস্তারিত...