দীর্ঘ দিন বন্ধ রাখার পর গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। এরই মাঝে সরকার বাস ভাড়া বাড়ানোর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আগের মত হাফ ভাড়া দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তাদের কয়েকদিনের আন্দোলনের পর মালিক পক্ষ হাফ ভাড়ার দাবি মেনে নেয়। কিন্তু তাতেও স্বস্তি পায়নি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া মেনে নিলেও সরকারি ছুটির দিন হাফ ভাড়া রাখা হবে না, রাত ৮টার পর হাফ ভাড়া নেয়া হবে না সহ দেয়া হয় কিছু শর্ত। শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন, কোনো শর্ত ছাড়াই দেশের সব ধরনের গণপরিবহনে হাফ ভাড়া চান।
অন্যদিকে ৫ মাস যেতে না যেতেই করোনা বেড়ে যাওয়ায় পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জন্য শিক্ষার্থীরা সেশন জটের পাশাপাশি হাফ ভাড়া নিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। গনপরিবহনে দেখা যায়, হাফ ভাড়া দিতে চাইলে বাসের কর্মীরা তা নিতে চান না। তারা বলেন, এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হাফ ভাড়াও বন্ধ। তখন শুরু হয় বাকবিতণ্ডা।
অনেকে মনে করেন সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটি আর করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এক বিষয় নয়। করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে হাফ ভাড়ার ব্যাপারে কোনো আলোচনা না হওয়ায় সমস্যা তৈরী হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের এই ব্যাপারে পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং বাস মালিকদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের জন্যে একটি সুষ্ঠ ও সুপরিকল্পিত সমাধান দেয়া উচিত। এবং সকল গণপরিবহনের মালিক, চালক ও হেলপারসহ সকলকে বিষয়টি নিশ্চিত করা যাতে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার নির্দেশনাগুলো সকলে পালন করতে বাধ্য হয়। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা দূরীভুত করে তাদের গণপরিবহনে চলাচলে একটি সুন্দর নীতিমালা প্রণয়ন করা।