1. faysalislam405@gmail.com : ফয়সাল ইসলাম : ফয়সাল ইসলাম
  2. tajul.islam.jalaly@gmail.com : তাজুল ইসলাম জালালি : তাজুল ইসলাম জালালি
  3. marufshakhawat549@gmail.com : মারুফ হোসেন : মারুফ হোসেন
  4. saddam.samad.24@gmail.com : সাদ্দাম হোসাইন : সাদ্দাম হোসাইন

● Friday, April 19, 2024 | 09:08 PM

সমাজের বাস্তবতা

সাদ্দাম হোসাইন
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১
  • ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
সমাজের বাস্তবতা
সমাজের বাস্তবতা

আমরা প্রথম শ্রেণী থেকে পড়ে এসেছি- আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়েই আমাদের পরিবেশ। আমরা যেখানে বাস করি সেটাই আমাদের সমাজ। তাই আমাদের সকলকে পরিবেশটাকে সুন্দর করে রাখতে হবে। সমাজের উন্নয়নের কাজে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সকলকে একসাথে মিলেমিশে থাকতে হবে। একে অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। খারাপ কাজ করতে দেখলে বাধা দিতে হবে আর ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।

কিন্তু সত্যিই কি বাস্তবে এমনটা হয় নাকি তা শুধু বই পুস্তকের গল্পতেই মানায়। একটা ছোট বালক যদি কোনো ভালো কাজ করতে চায় তখন এই সমাজেরই কিছু লোক বলে- “আইছে আমার দরদী।” যদি কাউকে খারাপ কাজে বাধা দিতে যায় তখন এই কথা বলা হয় যে- “আইছে আমার ভালো মানুষ।” যদি কাউকে কোনো ভালো কাজের কথা বলতে যায় তখন বলে যে- “আইছে আমারে জ্ঞান দিতে।” যদি কাউকে কোনো কাজে সাহায্য করতে যায় তখন আশেপাশের মানুষতো বলেই এমনকি যাকে সাহায্য করতে চায় ঐ ব্যক্তিটিও এই কথা বলে যে- “এতো দরদ দেখানোর দরকার নাই।”

এইযে একটা বালক বই থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছু ভালো কাজ করতে যেয়ে মানুষের কটুক্তির শিকার হয় তখন তার ভিতরে এই ধারণা তৈরি হয় যে- সমাজে ভালো মানুষের কোনো দাম নেই। আর বই পুস্তকে যা লেখা আছে তার সবই মিথ্যা। বই পড়া হয় শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য। শ্রেণীকক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে যদি একজন শিক্ষার্থী ভালো থাকে তাহলে বাকি শিক্ষার্থীরা তাকে নিয়ে উপহাস করে। ১০ জন বন্ধুর মধ্যে যদি ১ জন ভালো থাকে তাহলে বাকি বন্ধুরা তাকে নিয়ে উপহাস করে। একই বাড়িতে ১০ টি পরিবারের মধ্যে যদি ১ টি পরিবার ভালো থাকে তাহলে বাকি পরিবার তাদেরকে শত্রু মনে করে। সমাজের ধনী ব্যক্তিরা গরীব অসহায় মানুষদেরকে অসম্মান, অবহেলিত করে। শিক্ষিত লোকেরা মুর্খদের সাথে শিক্ষিত হওয়ার অহঙ্কার দেখায়।

একজন ধনী বা শিক্ষিত ব্যক্তি রিক্সায় চড়ে কোথাও গেলো। ভাড়া দেয়ার সময় যদি ভাড়া নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয় তখনই রিক্সাচালককে গালাগালি বা চড়, থাপ্পর লাগিয়ে দেয়। একজন সামান্য সবজি বিক্রেতা যদি তার সবজির দাম একটু বাড়িয়ে বলে তখনই তার সাথে দুর্ব্যবহার করা হয়। ধনীদের বিয়ে বাড়িতে গরীব, এতিম, মিসকিনদের দাওয়াত নেই। যারা সৎ পথে চলে তাদেরকে কেউ দেখতে পারে না। কিন্তু যারা সৎ পথে চলে না তারা সমাজে চোখের মনি হয়ে থাকে। সমাজে যারা উঁচু স্থানের মানুষ খারাপ হলেও তাদেরকে সবাই সম্মান করে। কিন্তু যাদের অর্থ-সম্পদ নেই ভালো হলেও তাদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। ক্ষমতার দাপটে গরীব, অসহায়, দুর্বল মানুষদেরকে মানুষই মনে করে না। এটাই হয়ে আসছে আমাদের এই সমাজে। (বি.দ্র. আমি এটা বলছি না যে সব মানুষই সমান। সমাজে অনেক ভালো মানুষ আছে।)

যুব সমাজ আজ ধ্বংশের দিকে। সমাজে যত অপকর্ম চলে তার বেশির ভাগই দেখা যায় যুবক। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন তারা খারাপ পথে পা বাড়াল। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি এটা বুঝতে পারি যে, খারাপ হওয়ার পিছনে মূলত ২ টি কারণ। ১. একজনের বাবা বা চাচা চেয়ারম্যান। তার সন্তান বাবা, চাচার ক্ষমতার গরমে নিজেকে খুব বড় মনে করে অহঙ্কারী হয়ে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ায়। কিন্তু প্রভাবশালীর লোক বলে তার কাজকে কেউ খারাপ বলতে পারে না। এইভাবে যুবক খারাপ হতে থাকে। ২. একজন পড়ালেখা শেষ করে চাকরির জন্য ঘোড়াঘুড়ি করে। কিন্তু অর্থ বা মামা, চাচার ক্ষমতা না থাকার কারণে চাকরি পায়না। আর চাকরি না পাওয়ার কারণে বেকার নামক অভিশপ্ত নামটি তাকে বিষাক্ত করে তোলে। পরিবারের কাছে হয়ে যায় বোঝা। তাই তখন কোনো উপায় না পেয়ে খারাপ পথে যেতে বাধ্য হয়। এভাবেই ধ্বংস হয় যুব সমাজ।

আমি মনে করি যারা ক্ষমতার গরমে খারাপ কাজ করে বেড়ায় তারা মানুষই না। যেই শিক্ষা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি করতে পারে না সেটা কোনো শিক্ষাই না। যেই সমাজে গরীব, অসহায়দের মূল্য নেই সেটা সমাজই না। পরিবেশ, সমাজ ও দেশের যদি ভালো চাইতে হয় তাহলে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। ধনীদের পাশাপাশি গরীবদেরকেও সম্মানও করতে হবে। সুশিক্ষিত হয়ে শিক্ষার মর্যাদা করতে হবে। যুবকদেরকে সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে সাহায্য করতে হবে। তাহলেই তৈরি হবে একটি সুন্দর সমাজ।

বিজ্ঞাপন




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই সম্পর্কিত আরও
© ২০২৪- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । হক কথা ২৪.নেট
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )