● শুক্রবার, মে 3, 2024 | 02:13 অপরাহ্ন

হ্যালো শব্দের প্রচলন হলো যেভাবে

এক তরুণী অফিসে বসে তার কাজ করছিলেন। এমন সময় তাকে কেউ একজন বার বার ফোন করছেন। কোনো বখাটে ফোন করছেন ভেবে তার মেজাজ গরম হয়ে আছে। ফোনটি ধরে রাগ হয়ে বলতে শুরু করলেন, ‘‘খবরদার, যদি আরেকবার ফোন দিয়েছেন তাহলে পুলিশে…..।” কথা শেষ হতে না হতেই অপর প্রান্ত থেকে তরুণী কর্মী যার কণ্ঠ শুনতে পেল, তিনি হলো তার অফিসের বস! তরুণীর অবস্থা নাজেহাল। হয়তো প্রথমে ফোনটি ধরে হ্যালো বললে তরুণীকে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো না।

কিন্তু এই কারণে ‘হ্যালো’ সম্ভাষণের রীতির প্রচলন হয়নি। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল যিনি টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি টেলিফোন সম্ভাষণ হিসেবে প্রথমে ব্যবহার করেছিলেন ‘আহোয়’ শব্দ। এই শব্দটি নাবিকেরা ব্যবহার করতেন। পরে আস্তে আস্তে হ্যালো শব্দ প্রচলন হতে থাকে।

হ্যালো শব্দটি এসেছে জার্মান শব্দ ‘হ্যালা, হলা’ শব্দ থেকে। নৌকার মাঝিকে ডাকার এটি বেশি ব্যবহার হতো। ১৮৭৭ সালে ওই সম্ভাষণ প্রথম টেলিফোনে ব্যবহার করেছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস এডিসন। তারপর থেকে এটি চারিদিকে প্রচলিত হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের কর্মীরা ১৮৮৯ সালের দিকে পরিচিতি পায় ‘হ্যালো-গার্লস’ এই নামে। সম্ভাষণসূচক হয় এমন কিছু বলা এখন একটি প্রচলিত রীতি। আর তাই ওই হ্যালো শব্দ। ফোন ধরে হ্যালো বলা মানে হলো কথা বলার জন্য প্রস্তুত আছি, সেটা বুঝিয়ে বা জানিয়ে দেওয়া।

এই সম্পর্কিত আরও

আবুল কালাম
বিস্তারিত...
 আরবে ঈদের তারিখ ঘোষণা
বিস্তারিত...
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান
বিস্তারিত...
813788_175
বিস্তারিত...
জান্নাতের ফুল
বিস্তারিত...
আশুরা স্মরণে
বিস্তারিত...